ওয়াশিংটনে ন্যাটো সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ( ১১ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিক ভাষাগত ভুল করেছেন। ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের জন্য এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কারণ তিনি পুনর্নির্বাচনের জন্য তার বয়স নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বাইডেনের ভাষাগত ভুল নতুন কিছু নয়। ছোটবেলায় তোতলামি কাটিয়ে ওঠা বাইডেনের এসব ভুলের প্রতি এখন আরও বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। গত মাসে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে খারাপ পারফর্ম করার পর এই নজরদারি বেড়েছে।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের বয়স নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বিতর্ক চলাকালীন তিনি একাধিক মিথ্যা দাবি করেছেন। প্রায়শই প্রচারণার ভাষণে অসংলগ্ন বক্তব্য দেন।
জেলেনস্কিকে ভুল করে ‘পুতিন’ বলা
বাইডেন ভুল করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন’ বলে উল্লেখ করেন। ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, এবং এখন আমি এটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হস্তান্তর করতে চাই, যার সাহস যেমন আছে, তেমনি দৃঢ়তা রয়েছে, নারীরা ও মহোদয়গণ, প্রেসিডেন্ট পুতিন।
যা শুনে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান।
পরে বাইডেন নিজেকে সংশোধন করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে হারাতে হবে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আমি পুতিনকে হারানোর ওপর খুবই মনোযোগী।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসকে ভুল করে ‘ট্রাম্প’ বলা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে, বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের নাম গুলিয়ে ফেলেন। হ্যারিসের প্রতি আস্থার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেছেন, দেখুন, আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিতাম না যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যোগ্য না হতেন। তাই সেখান থেকে শুরু করি।
‘চিফস অব স্টাফ’ বলতে গিয়ে বিড়ম্বনা
বাইডেন সংবাদ সম্মেলনে ‘চিফস অব স্টাফ’ বলতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হন। তিনি ভুল করে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতাদের ‘কমান্ডার ইন চিফ’ বলে উল্লেখ করেন। অথচ কমান্ডার ইন চিফ হলেন তিনি নিজে।
বাইডেন বলেছেন, এবং তাই আমাদের সামরিক বাহিনী আমার কমান্ডার ইন চিফের, আমার, আমার, আমার, সামরিক বাহিনীর চিফস অব স্টাফ, পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব এবং আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের পরামর্শ মেনে চলছে।