৬৪ মিনিটে গোড়ালির চোটে মাঠ থেকে বেরিয়ে ডাগআউটে বসে যেভাবে কেঁদেছিলেন লিওনেল মেসি, তাতে তার ভক্তদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিলো যেন! অজানা শঙ্কায় যে কান্না তার চোখজুড়ে নেমেছিলো, সেটাকে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে দিলেন না লাউতারো মার্টিনেজ। ১১২ মিনিটে গোল করে মেসির কান্না মুছে সেখানে হাসি ফুটিয়ে দিলেন তিনি।
১২০ মিনিট পর খেলা শেষের বাঁশি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই হার্ডরক স্টেডিয়াম ভেসে ওঠে বিজয়োল্লাসে। সে সঙ্গে অনেকগুলো রেকর্ডও লেখা হয়ে যায় রেকর্ডবইয়ে। সর্বোচ্চ ১৬বার কোপা চ্যাম্পিয়ন, টানা তিনটি বড় শিরোপা, লাতিনের প্রথম দল হিসেবে ত্রিমুকুট- আরও কত কি!
কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে লিওনেল মেসির পাশে লেখা হয়ে গেলো বিরল এক রেকর্ড। এতদিন এই রেকর্ডটা তিনি ভাগাভাগি করছিলেন, তারই ক্লাব সতীর্থ, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজের সঙ্গে।
ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৪৪টি শিরোপা জয় করেছিলেন দানি আলভেজ। লিওনেল মেসিও ইন্টার মিয়ামির হয়ে গত বছর লিগস কাপ জয় করে নাম লিখেছিলে আলভেজের পাশে। এবার কোপা আমেরিকা জয় করে আলভেজকেও ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। এখন লিওনেল মেসিই ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপাজয়ী ফুটবলার।
মেসির ট্রফির সংখ্যা
গত তিন বছরে মোট চারটি বড় শিরোপা জয় করেছেন মেসি। এর মধ্যে দুটি কোপা আমেরিকা, একটি বিশ্বকাপ এবং একটি ফাইনালিসিমা।
সাবেক বার্সেলোনা তারকা বার্সার হয়ে ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জয় করেন। সে সঙ্গে ১০টি জিতেছেন লা লিগা শিরোপা। ব্যক্তিগতভাবে ৮টি ব্যালন ডি’অর এবং ৬টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয় করেছেন মেসি।
৪৫টি শিরোপার মধ্যে ৩৯টিই জয় করেছন তিনি ১৭ বছরের বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে। সব মিলিয়ে ১২টি লিগ শিরোপা জিতেছেন তিনি। এর মধ্যে ১০টি বার্সায় এবং ২টি পিএসজির হয়ে। চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবগুলোই জয় করেছেন বার্সার জার্সিতে।
১৭টি ঘরোয়া ট্রফি (১৫টি বার্সার হয়ে, ১টি করে পিএসজি এবং ইন্টার মিয়ামির হয়ে)। এর বাইরে মেসি ৩টি করে উয়েফা সুপার এবং ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেন।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি জয় করেছেন ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ, ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে অলিম্পিক গোল্ড, ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা, ২০২২ ফাইনালিসিমা, একই বছর সবচেয়ে স্মরণীয় বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ সালে কোপা আমেরিকা শিরোপা।