দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭ টাকা ৭৮ পয়সায় মিলতো এক ডলার। বর্তমানে সেই ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১৮ টাকায়। এতে করে গত পাঁচ দশকে (৫০ বছরে) টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ১৫১৬ শতাংশ। জাতীয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে এক ডলারের দাম ছিল ৭ টাকা ৭৮ পয়সা। এর এক দশক পর অর্থাৎ ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে ডলার দাম ১২ টাকা ২৮ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ টাকা ৬ পয়সায়।
অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এরপরে দ্বিতীয় দশকে ১৯৯১-৯২ অর্থবছর শেষে ১৮ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম ওঠে ৩৮ টাকা ৭ পয়সায়। তৃতীয় দশকে অর্থাৎ ২০০১-২০০২ অর্থবছরে এসে ডলারের দাম ১৯ টাকা ৩৪ পয়সা বেড়ে ৫৭ টাকা ৪১ পয়সায় ওঠে। চতুর্থ দশকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ডলার দাম ২১ টাকা ৬৯ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯ টাকা ১০ পয়সায়।
সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে ডলারের দাম ২০ টাকা ৩৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯ টাকা ৪৫ পয়সায়। আর নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চলতি মে মাসে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১১৮ টাকায় উঠেছে।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডলারের নতুন দাম ঘোষণা করে। এতে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ক্রুলিং পেগ পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এতে ব্যাংকগুলো বাজারের ওপর নির্ভর করে নিজেদের মধ্যে ডলার কেনাবেচা করতে পারবে। তবে খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মানি চেঞ্জাররা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে যখন ডলারের দাম বাড়ে তখন ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই প্রভাবই লক্ষ্যনীয় হয়ে ওঠে। একদিকে এই মুদ্রার দাম বাড়ায় রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদের লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি আমদানি ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।